এন্টিবায়োটিকের ইতিহাস

Posted on

Written by

ইমন মোহতাসিন

এন্টিবায়োটিকের ইতিহাস

মানুষের মন চিরকালই রহস্যময় ছিল, আছে, থাকবে। তাইতো যুগ যুগ ধরে এর প্রকৃতি, চিন্তাধারা, ভাবনার কারণ, ভিত্তি ও উপায় এবং মানুষের ওপর এর প্রভাব নিয়ে শিক্ষিত সমাজ ও জ্ঞানতপস্বী মনীষীগণ গভীরভাবে ভেবেছেন, গবেষণা করেছেন, তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন। যেখানেই অজানাকে জানার প্রয়োজন, অপ্রত্যাশিত ঘটনার ব্যাখ্যা প্রয়োজন, রহস্যের উন্মোচন প্রয়োজন; সেখানেই বিজ্ঞান এগিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা মনোবিজ্ঞানের (Psychology) অস্তিত্বই তা প্রমাণ করে।

এন্টি মাইক্রোবায়াল সম্ভবত চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অন্যতম কার্যকর জীবাণুনাশক। এটা বলার প্রয়োজনই নেই যে, সংক্রামক ব্যাধি দমনে তারা কতোটা কার্যকর ছিলো এবং যেসব রোগব্যাধি মানুষের অস্তিত্বের পথেই বাধা হয়ে ছিলো তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো এন্টি মাইক্রোবায়ালস রাই। কিন্তু একটা কমন ভূল ধারণা আমাদের সবার মধ্যেই আছে। সেটা হলো, এন্টিবায়োটিক যুগ শুরু হয়েছে ১৯২৭ সালে আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং এর পেনিসিলিন আবিষ্কার থেকে। কিন্তু তারও আগে প্রাকৃতিক ভাবে অনেক বারই প্রাণঘাতী জীবাণুর বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়া হয়েছে। পুরোনো কংকালের দেহাবশেষগুলি পড়ে রয়েছে সাক্ষী হিসাবে।

আনুমানিক ৩৫০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দের রোমান সৈনিকদের দেহে “টেট্রাসাইক্লিন” এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মিশরের বিখ্যাত ফসিল ‘দাখলেশ’ এর দেহেও “টেট্রাসাইক্লিন” ও “ফ্লুরোক্রোম” এর অস্তিত্ব সন্দেহাতীত। সৈনিকদের খাদ্যাভ্যাসে এসবের অস্তিত্ব প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক এর শক্তিশালী প্রমাণ।এবং সে যুগের মহামারীতে এসব শ্রেণীর মানুষের মৃত্যুহারই সবচাইতে কম। টেট্রাসাইক্লিন হাড়,দাঁত ও পরিপাক জনিত জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ধারণা করা হয় এরকম আরো এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার আগের যুগে ছিলো। কিন্তু সেগুলো সবগুলোর অস্তিত্ব নিরুপণ করা যায় না। জর্ডান বাসীরা ঐতিহ্য গত ভাবেই লাল মাটির ব্যবহার করে যাতে একটিনোমাইসিনের অস্তিত্ব বিদ্যমান। যা ত্বকের যত্নে ও জীবাণু নাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন চাইনিজ চিকিৎসা পদ্ধতিতে এন্টি মাইক্রোবায়ালস এর নিয়মিত ব্যবহার ছিলো, বিশেষ করে ম্যালেরিয়া দমনে তাদের ব্যবহৃত তিক্ত সোমরসের ব্যবহার উল্লেখ না করলেই নয়। শত মিলিয়ন বছর পুরোনো প্লাসমিডে এখনো ল্যাক্টামিস এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাই এন্টিবায়োটিকের ধারণা নতুন হলেও, এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রাণীজগৎ এর ইতিহাসের মতোই প্রাচীন।

আধুনিক এন্টিবায়োটিক যুগের সূচনাঃ

আধুনিক এন্টিবায়োটিক যুগের শুরু হ্য পল আরলিচ আর আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং এর হাত ধরে। আর্লিচ এর ম্যাজিক বুলেট আইডিয়া আইডিয়া শুধুমাত্র সেই রোগগুলো টার্গেট করে যা শুধু অনুজীব এর কারণে ঘটে। এবং শুধুমাত্র ক্ষতিকর অনুজীবকেই টার্গেট করবে,পূর্বের এন্টিমাইক্রোবায়াল গুলোর মতো সকল জীবাণু নাশ করবে না। এ কাজে তিনি এনিলিন এবং অন্যান্য সিনথেটিক ডাই এর ব্যবহার করলেন। আর্লিচ এর যুক্তি ছিলো স্পেসিফিক কেমিকেল একটি নির্দিষ্ট ক্ষতিকর জীবাণুকে সম্পুর্নভাবে বিনাশ করে দিতে পারে অন্যান্য অনুজীব এর ক্ষতি না করেই। এই যুক্তিতে তিনি ও তার সহযোগী রা সর্বপ্রথম যৌন সংক্রামক ব্যাধি সিফিলিস প্রতিরোধে এটোক্সিল যুক্ত যৌগের ব্যবহার শুরু করেন।

১৯০৪-১৯১০ ব্যাপি গবেষণার পরে অবশেষে ৬০৬ নাম্বার যৌগ সিফিলিস প্রতিরোধে সক্ষম হলো। যেটা পরবর্তিতে “নিওসালভারসন” নামে বাজার জাত করা হয়। ঔষধ আবিষ্কারে আর্লিচ এর “সিস্টেম্যাটিক স্ক্রিনিং এপ্রোচ” নতুন দিগন্তের সূচনা করে। যার ফলে প্রায় হাজারখানেক আধুনিক ঔষধ চালু হয় চিকিৎসাক্ষেত্রে। এন্টিবায়োটিক এর শুরুর যুগে আরেকটি উল্লেখ করার মতো ঘটনা ঔষধ তৈরিতে সালফার এর ব্যবহার। কেমিস্ট জোসেফ ক্ল্যারার ও ফ্রিট মিজ এর প্রোটনসিল এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল হিসেবে খুবই কার্যকর ছিলো। আকস্মিকভাবেই এটা আনন্দের সংবাদ হিসেবে আসে যে প্রটোনসিল এর মূল উপাদান সালফানিলামাইড এর আগেই ব্যবহার হওয়ায় এই ঔষধের পেটেন্ট নেওয়া যায় নি। ফলে এই এন্টিব্যাকটেরিয়াল হয় খুবই সুলভ ও সস্তা এবং প্রথমবারের মতো সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী এন্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপরে সালফার হতে আরো কিছু ঔষধ বের হয় কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিকর যে বিষয়টি এতে উঠে আসে তা হলো, এই ঔষধগুলোর ব্যবহারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসেরও জিনগত উন্নতি সাধন হয় এবং পরবর্তিতে তারা আরো শক্তিশালী রূপে আক্রান্ত করতে সক্ষম হয়।

![](https://lh4.googleusercontent.com/ExbfWJRewwARMNmZ8LYW6IUfZQgNx2l1LY664OoWIF_3frPovonF57g-Iz0VombFDHYcVJ3e7SVSecMWcindEnbczKxpDKWXzJYg6l0WGnu4kXx9zFc19znmxQE7Qb3fIWq7_8jrNgaNTgDaBcHUB6KSuY_3rRuXvxEdFU6bJWExYxNzk8FNpCq8 =624x416)

সত্যি বলতে, ক্ষতিকর প্রাণঘাতী জীবাণু দমনে প্রকৃত এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার তখনো শুরু হয় নি। এ কারণেই আধুনিক এন্টিবায়োটিক যুগের সূচনাকাল ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৮, এবং পূর্বের এতো এতো গবেষণার পরেও আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং কেই এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়। পেনিসিলিয়াম নামক ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংসের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করেন পেনিসিলিন নামক বিশ্বের প্রথম এন্টিবায়োটিক। মজার ব্যাপার হলো এই ধর্ম বহুবছর ধরে বহু বিজ্ঞানীর নজরে আসলেও কেউই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন নি এর আগে, পেনিসিলিয়াম ব্যাকটেরিয়া এর আগেও বহু স্যাম্পল ভাইরাস ধ্বংসের পরেও ফ্লেমিং এর আগে কেউই এই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তাই করেন নি।

কিন্তু ফ্লেমিং এর আবিষ্কার এরও সীমাবদ্ধতা ছিলো, পেনিসিলিন এর ধর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানলে এটিকে পরিপূর্ণ ভাবে পেনিসিলিয়াম থেকে পরিশোধন ও ব্যবহার উপযোগী করায় আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং অসমর্থ হন। তিনি তাই সময় মতো এই এন্টিবায়োটিক এর পেটেন্ট নিতে পারেন নি এবং কেমিস্ট দের তার গবেষণায় সাহায্য করতে আহবান করেন। অবশেষে,হ্যাঁ সত্যিকারের সুখবর টা এলো ১৯৪০ সালে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হাওয়ার্ড ফ্লোরি আর আর্নেস্ট চেইন অবশেষে পেনিসিলিন পরিশোধন করতে পারেন। ৫ বছর ধরে ফ্লেমিং এবং অপর দুইজন এর মাত্রা ও ব্যবহার কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করেন এবং পরিমিত মাত্রায় ব্যবহারে সতর্ক করেন সকলকে। শেষমেশ ১৯৪৫ হতে পেনিসিলিন ঔষধ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহার শুরু হয়।

এইটুকু হয়তোবা অনেকেরই জানা,কিন্তু একটা মজার ব্যাপার প্রায়ই মানুষের লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছে। তা হলো হাসপাতাল ব্যবহার উপযোগী, জনস্বাস্থ্যে প্রয়োগকৃত পৃথিবীর ১ম এন্টিবায়োটিক। যেটার নাম “পায়োসায়ানেজ”, উদ্ভাবন করেন এমরিচ ও লো। ব্যাসিলাস নামক ব্যাক্টেরিয়া হতে এই গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক এর আবিষ্কার হয়।যা পরবর্তি ৮০ বছরের ইতিহাসে যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করবে।প্রকৃতপক্ষে প্রথমদিককার সালভারসন, প্রটোনসিল, পেনিসিলিন প্রতিটি আবিষ্কারই ধাপে ধাপে এন্টিবায়োটিক যুগের সুচনা করে। যা সম্ভবত বদলে দিয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও পরবর্তী বিশ্ব।

প্লাসিবো ইফেক্ট (Placebo Effect)

প্লাসিবো ইফেক্ট কী সেটা বুঝতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে প্লাসিবো কাকে বলা হয়। চিকিৎসাবিদ্যায় প্লাসিবো বলতে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন বা অন্য কোনো কিছুকে (চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও হতে পারে) বোঝায় যা আপাতদৃষ্টিতে গতানুগতিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া বা তার অংশ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে ঠিক তা নয়। সোজা ভাষায় বললে, দেখতে ওষুধের মতো কিন্তু ওষুধ নয়, কিংবা দেখতে ইনজেকশনের মতো কিন্তু আসলে তা নয়।

প্লাসিবো মূলত বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেখানে দুটি বিশেষ গ্রুপের মাঝে এক গ্রুপের সদস্যদের কোনো একটি রোগের জন্য নির্ধারিত নতুন প্রস্তুতকৃত ওষুধ দেওয়া হয় এবং অপর গ্রুপটিকে প্লাসিবো পিল প্রদান করা হয়। যেহেতু প্লাসিবো কোনো সক্রিয় ওষুধ বা নির্দিষ্ট রোগের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, তাই স্বভাবতই রোগীর অবস্থার উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে এর তেমন বড়ো কোনো প্রভাব ফেলার কথা না। এই ধারণাকে সামনে রেখে গবেষকগণ প্লাসিবো প্রদানকারী গ্রুপ এবং নতুন ওষুধ প্রদানকারী গ্রুপের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলোর মাঝে তুলনা করেন এবং নতুন ওষুধটি আসলেই কতটা কার্যকরী তা নির্ধারণ করেন।

এখন আসা যাক প্লাসিবো ইফেক্টে। যখন কোনো ব্যক্তিকে সক্রিয় চিকিৎসা প্রক্রিয়ার বদলে প্লাসিবো প্রদান করা সত্ত্বেও তার অবস্থার যে কোনো প্রকারের উন্নতি পরিলক্ষিত হয়, তখন তাকে প্লাসিবো ইফেক্ট বলা হয়। যেমন, এক গবেষণা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একদল হাঁপানি রোগীকে কিছু প্লাসিবো ইনহেলার (আসল ইনহেলারের মতো দেখতে, কিন্তু পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়) দেওয়া হলো, যার পক্ষে আদৌ কোনো ভালো প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব নয়। কিন্তু গবেষকগণ যখন রোগীদের কাছে জানতে চাইলেন যে তারা কেমন বোধ করছিলেন, তখন তাদের কয়েকজন বলেন— ওষুধ গ্রহণের পর অন্যসময়ের মতোই তারা স্বস্তি অনুভব করছেন। এক্ষেত্রে দুটো বিষয় হওয়া সম্ভব—

  • উক্ত রোগীদের তেমন শ্বাসকষ্টই ওঠেনি।
  • প্লাসিবো ইনহেলার গ্রহণের পর তারা মানসিকভাবে অনেকটা শক্তি পেয়েছেন বা ভালো অনুভব করেছেন।

ধারণা করা হয়, এটি মূলত মানুষের মনের প্রত্যাশার উপর নির্ভর করে। যদি কোনো ব্যক্তি দৃঢ় আশা রাখেন বা বিশ্বাস করেন যে কোনো ওষুধ তার অবস্থার কিছু না কিছু উন্নতি সাধন করতে পারবে (যেটা বাস্তবে প্লাসিবো পিল পারে না), তবে এটা সম্ভব যে তার দেহের নিজস্ব রাসায়নিক ব্যবস্থা একই রকম প্রভাব ফেলবে, যা অন্য সময়ে মূল ওষুধটির প্রভাবে ফেলতো। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের দেহের উপর মনের প্রভাব কী রূপ? কতটা গভীর? এত বড়ো একটা ব্যাপার কীভাবে ঘটা সম্ভব? কেননা, কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণের পর দেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া, আর নিষ্ক্রিয় ওষুধকে আসল ওষুধ মনে করে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশায় বসে থাকার পর একই রকম প্রতিক্রিয়া বা তার কাছাকাছি কিছু পাওয়ার মধ্যে আসমান-জমিন তফাৎ।

আরও ধারণা করা হয় যে, প্রত্যেক তিনজন ব্যক্তির মধ্যে অন্তত একজনের মাঝে এই প্লাসিবো ইফেক্ট দেখা যায়!

মনোবিজ্ঞান প্লাসিবো ইফেক্টকে কিভাবে ব্যাখ্যা করে?

প্লাসিবো ইফেক্ট মানুষের মন এবং দেহের মাঝে বিদ্যমান বিস্ময়কর এক সংযোগ, অন্যরকম এক সম্পর্ককে তুলে ধরে যা এখনো পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তারপরেও মনোবিজ্ঞানে এর কতিপয় ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, যা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

ক্ল্যাসিক্যাল কন্ডিশনিং (Classical Conditioning)

সাধারণত আমাদের মাঝে কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়ার কারণ হিসেবে পূর্বঘটিত নির্দিষ্ট কিছুকে দায়ি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, আমাদের ভেতরে কাজ করা এই ব্যাপারটাকেই বিজ্ঞানের পরিভাষায় ক্ল্যাসিক্যাল কন্ডিশনিং বলে। উদাহরণস্বরূপ: ধরুন কোনো একটি খাবার খাওয়ার পর আপনার অস্বস্তি হতে লাগল বা শরীর খারাপ করলো। তখন স্বভাবতই আপনার মনে হবে খাবারটি খাওয়ার কারণে হয়তো আপনার এরূপ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হয়তো আপনি খাবারটি এড়িয়ে চলবেন, যদিও প্রকৃত কারণ ভিন্ন হতে পারে।

অনুরূপভাবে, ধরুন আপনি মাথাব্যথা কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো একটা ওষুধ ব্যবহার করেন। ব্যবহারের পর যখন ভালো ফল পান, তখন আপনার মস্তিষ্কে গেঁথে যায় যে এই ওষুধটি আপনার মাথাব্যথা কমিয়ে স্বস্তি দিতে সক্ষম। ফলে পরবর্তীতে যদি আপনাকে একই রকম দেখতে একটি প্লাসিবো পিল দেওয়া হয়, তখনো আপনার মনে হতে পারে যে মাথাব্যথা কমে যাচ্ছে বা আপনি তুলনামূলকভাবে ভালো অনুভব করছেন।

Share:

You might also like