মাতৃভাষায় রসায়ন চর্চা
Posted on
রঙের প্রাচুর্য থেকে তুষারকণার সৌন্দর্য, ঘোলাটে বা রঙিন ইমালশন হতে সোডিয়ামের সোনালি-হলুদ শিখাসহ আমাদের আশেপাশের আরো অনেক কিছুকেই রসায়ন দ্বারা খুব চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
বছরের পর বছর ধরে কৌতূহলী মানুষদের কৌতূহল মেটাতে এবং অনুসন্ধিৎসু মানুষদের চমকে দেওয়াই যেনো রসায়নের কাজ। রসায়ন বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে একজন রসায়নবিদ প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল চিন্তা করে থাকেন এবং তার ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রহস্য উদঘাটন কিংবা কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। তাই, আপনি যদি রসায়ন নিয়ে লেখালিখি করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল উপায়ে চিন্তা করেই লেখাটি সাজাতে হবে।
রসায়ন বিষয়ক প্রবন্ধ লেখা কেবল আপনার সৃজনশীলতাই প্রকাশ করবে না বরং এর পাশাপাশি উক্ত বিষয় সম্পর্কে পাঠকদের বিস্তারিত জ্ঞানলাভের সুযোগও তৈরি করে দেবে। এছাড়াও আপনার লেখাটি হতে পারে উদ্ভাবনীয়, আনন্দদায়ক কিংবা কোনো নবীন রসায়নবিদের ভবিষ্যৎ গবেষক হিসেবে গড়ে উঠার অনুপ্রেরণা।
তবে এই প্রবন্ধ লেখা যদি বাংলাতেই হয় তাহলে নিশ্চয়ই রসায়নের কাঠখোট্টা ব্যাপারগুলো সহজেই পাঠকরা অনুধাবন করতে পারবেন। তাই আপনাদের মতো সৃষ্টিশীল মানুষদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে এবং রসায়ন নিয়ে আগ্রহ তৈরী করতে কেমফিউশনের এবারের আয়োজন “মাতৃভাষায় রসায়ন চর্চা”
প্রতিযোগীদের জন্য নির্দেশনা:
১. প্রবন্ধ অবশ্যই ৬০০-১০০০ শব্দের মধ্যে হতে হবে। শব্দসংখ্যা এর থেকে কম হলে প্রবন্ধটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
২. প্রবন্ধটি টাইপ করে ডক/ওয়ার্ড ফাইল হিসেবে নিম্নোক্ত গুগল ফর্ম এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে -
অথবা, আপনি চাইলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমফিউশন অন-ক্যাম্পাস টিম মেম্বারদের কাছেও আপনার লেখা প্রবন্ধটির হাতে লেখা কপি সরাসরি প্রদান করতে পারেন।
৩. আপনার লেখাটি অবশ্যই বাংলায় হতে হবে।
৪. প্রবন্ধের সাথে অবশ্যই মানানসই শিরোনাম দিতে হবে।
৫. প্রবন্ধের শেষে নিজের নাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করতে হবে।
৬. বাহ্যিক তথ্যের উৎস অবশ্যই লিংক আকারে বা কি-ওয়ার্ড হিসেবে লেখার শেষে যোগ করতে হবে।
৭. প্রবন্ধটির সাথে কোনো ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে চাইলে তা সরাসরি মূল ফাইলে যুক্ত করে দেওয়া যাবে, অথবা ফাইল পাঠানোর সময় ছবি আর তার অবস্থান ঠিক করে দিতে হবে। (উদাহরণ: ১নং ছবি ২য় ও ৩য় প্যারাগ্রাফের মাঝে থাকবে।)
৮. মূল প্রবন্ধের সাথে অন্য কোনো লেখার হুবহু মিল পাওয়া গেলে সেটি বাতিল বলে গণ্য হবে এবং লেখক কেমফিউশনের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আমরা সৃজনশীলতা ও স্বকীয়তাকে প্রাধান্য দেই।
৯. প্রবন্ধ লিখার সময় গৎবাঁধা নিয়মে উপস্থাপন না করে বরং সৃজনশীল উপায়ে এবং কোনো বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ এবং উপযুক্ত বিশ্লেষণ উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
১০. প্রবন্ধের বিষয়টি বিশ্লেষণের সময় উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ করা হলো।
উপরে উল্লিখিত নিয়মাবলী না মানলে আপনার তৈরিকৃত প্রবন্ধটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
(কেমফিউশন জমাকৃত সকল লেখা প্রকাশ, সম্পাদনা, পরিমার্জনা এবং সংরক্ষণের পূর্ণ অধিকার রাখে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিচারক/কেমফিউশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।)
লিখা পাঠানোর শেষ সময়ঃ
৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, রাত ১১ঃ৫৯
পুরষ্কার এবং বিজয়ী ঘোষণাঃ
আপনাদের মধ্যে যারা চমৎকার লেখা পাঠাবেন তাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং আপনার লেখাগুলো কেমফিউশনের ব্লগসাইট এবং ম্যাগাজিনে প্রকাশের সুযোগ তো থাকছেই!
বিজয়ী ঘোষণাঃ ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কিংবা কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে নিঃসংকোচে নক করতে পারেন কেমফিউশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ ইনবক্সে কিংবা মেইল করেও জানাতে পারেন আমাদের। আপনার যেকোনো প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি। শুভকামনা রইলো!