ব্রেকিং ব্যাড- রসায়ন কতখানি?
Posted on
ব্রেকিং ব্যাড (Breaking Bad) হালের জনপ্রিয় একটি টিভি সিরিজ। ২০০৮ সালে এই টিভি সিরিজের যাত্রা শুরু। নিও-ওয়েস্টারন ক্রাইম থ্রিলার ধাঁচের এই টিভি সিরিজ বহু বছর তরুনদের মনে সেরা টিভি সিরিজের আসনে আসীন। রোমাঞ্চে ঠাসা,ঘাত-প্রতিঘাত,অপরাধ আর জীবন সংগ্রামের এক বিরহ গাথার মধ্য দিয়ে দর্শক সত্য আর মিথ্যার মাঝেও যে ধূসর একখানি জায়গা আছে তার সাথে পরিচিত হয় এই সিরিজে।
গল্পটা নিউ মেক্সিকো ,আল্বুকারকি অঙ্গরাজ্যের। গল্পের প্রধান চরিত্র ওয়াল্টার হোয়াইট পেশায় একজন রসায়ন শিক্ষক। ছাপোষা,নিরীহ গোছের এই মানুষটার জীবনে ঝড় উঠে। স্টেজ থ্রি লাং ক্যানসার। বাঁচার আশা একদম ক্ষীণ। নিজের চিকিৎসা আর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে ওয়াল্টার তার রসায়নের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নেমে পড়েন এই ভয়ংকর মাদক ব্যবসায়। মেথাম্ফেটামিন-এক ভয়ংকর প্রাণঘাতী মাদক।
নিজের ক্রূর বুদ্ধির জোরকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন মাদক সাম্রাজ্য যার পরতে পরতে খুন,রাহাজানি আর নিষ্ঠুরতা। শেষ এপিসোডে হোয়াইটের মৃত্যু তাও আমাদের চোখে অশ্রু এনে দেয়-খলনায়ক হয়েও তিনি যেন আমাদের নায়ক। তার অসৎ এবং নীতি বহির্ভূত কাজকর্ম ঢাকা পড়ে জীবন সংগ্রামে লিপ্ত এক দায়িত্বনিষ্ঠ বাবার অবয়বে।
ব্রেকিং ব্যাডে রসায়নের জ্ঞানের অনেক মজার এবং কৌতূহল উদ্দীপক প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে কতটুকু মেকি আর কতটুকু রসায়ন অনুমোদন করে? সেই দিকে দৃষ্টিপাত করার আগে কিছুটা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া আরকি!
হাইড্রোফ্লুরিক এসিড
এই সিরিজের এক পর্বে এমিলিওর মৃতদেহ ধ্বংসের জন্য হাইড্রোফ্লুরিক এসিড বা HF বেছে নেয়।
হাইড্রোফ্লুরিক এসিড কি মৃতদেহ ধ্বংস করতে সক্ষম?
হাইড্রোফ্লুরিক এসিড একটি ক্ষয়কারক, অম্লজাতীয় পদার্থ । অনার্দ্র হাইড্রোজেন ফ্লুরাইড গ্যাস এবং জলীয় হাইড্রোফ্লুরিক এসিড হিসেবে একে পাওয়া যায়। ফ্লুরস্পারের (CaF₂) সাথে সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় এই এসিড। বিক্রিয়াটি তাপহারি।
CaF₂+ H₂SO₄ = 2HF + CaSO₄
হাইড্রোফ্লুরিক এসিড ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম প্রোডাকশন এবং ইউরেনিয়াম প্রসেসিং। এছাড়াও ফ্লুরো কার্বন প্রস্তুতে এবং রেফ্রিজেরান্ট হিসাবে এর ব্যবহার। কিন্তু হাইড্রোফ্লুরিক এসিড কি মৃতদেহ ধ্বংস করতে সক্ষম?
মৃতদেহ ধ্বংসে এই এসিডের ব্যবহার তেমন নেই। ক্ষয়কারক গুন থাকায় এই এসিড কাচ বা সিলিকার ক্ষতি করতে পারে এটা প্রমাণিত। এই জন্য কাচের কোন পাত্রে এই এসিড সংরক্ষণ করা হয় না- করা হয় টেফলন বা প্লাস্টিকে যা এর ক্ষয় সহ্য করতে সক্ষম।
মৃতদেহ ধ্বংসে মূলত ব্যবহৃত হয় কস্টিক সোডা ( NaOH) বা কস্টিক পটাশ (KOH) এর ক্ষারীয় দ্রবণ যা লাই (Lye) নামে পরিচিত। মেক্সিকোর বিভিন্ন অপরাধ সংঘটনের মধ্যে এই পদ্ধতি অবলম্বনের প্রচলন রয়েছে। ফুটন্ত ক্ষারের দ্রবণে মৃতদেহ ধ্বংসে সময় লাগে ৩৬ ঘন্টার মতো।এই প্রক্রিয়ায় উপজাত হিসেবে প্রচুর বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হবে। ফিউমিং হুডের ব্যবস্থা না থাকলে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে ।কস্টিক সোডা বা কস্টিক পটাশ তীব্র ক্ষারধর্মী সেই তুলনায় হাইড্রোফ্লুরিক এসিড এর অম্লধর্ম নিতান্ত।এটি দুর্বল এসিড-জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ বিশ্লেষিত হয় না। এর ক্ষয়কারক ধর্মের জন্য ফ্লোরাইডের উপস্থিতি দায়ী। এটি মূলত টিস্যু ক্ষয়কারক এবং ডিক্যালসিফায়ার। ত্বকের দহন , শ্বাসরোধী এবং বিভিন্ন অঙ্গের কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করলেও মৃতদেহ ধ্বংসের ক্ষেত্রে এই এসিডের ভূমিকা প্রমাণসাপেক্ষ।
সালফিউরিক এসিড ব্যবহারে মৃতদেহ ধ্বংসের দৃষ্টান্ত রয়েছে-Mrs. Durand Deacon এর হত্যাকান্ডে। যেখানে John Haigh একজন দাগি আসামি এসিড বাথে তার শিকারের মৃতদেহ ধ্বংস করেন।
তবে সিরিজে দেখানো বাথ ট্যাব এবং ফ্লোরের যে ক্ষতি তা যুক্তিযুক্ত যেহেতু হাইড্রোফ্লুরিক এসিড একটি ক্ষয়কারক উপাদান এই জন্য ওয়াল্টার জেসিকে প্লাস্টিকের পাত্রে মৃতদেহ ধ্বংসের কাজটি করতে উপদেশ দিয়েছিল। হাইড্রোফ্লুরিক এসিড প্লাস্টিকের ক্ষতি করতে না পারলেও সিরামিকের বেশ ক্ষতিসাধন করে।
মার্কারি ফালমিনেট
এই সিরিজের এক এপিসোডে রয়েছে মার্কারি ফালমিনেটের ব্যবহার । ওয়াল্টার হোয়াইট টুকো সালমাঙ্কার ডেরা মার্কারি ফালমিনেটের বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়।
মার্কারি ফালমিনেট কি? সত্যি কি তা বিস্ফোরক হিসাবে ব্যবহার করা যায়?
Mercury (II) Fulminate একটি বিস্ফোরক দ্রব্য। রাসায়নিক সংকেত Hg(CNO)₂ আবিষ্কার ১৮০০ সালে,Edward Howard নামের একজন বিজ্ঞানীর হাতে। এই রাসায়নিক দ্রব্যের ক্রিস্টালের গঠন আবিষ্কার হয় ২০০৭ সালে। নাইট্রিক এসিড ,HNO₃ এবং ইথানলের,CH₃CH₂OH বিক্রিয়ায় মার্কারি ফালমিনেট প্রস্তুত হয়।
Hg +HNO₃ = Hg(NO₃)₂ + 2NO +H₂O
Edward Howard যখন এই দ্রব্য টি আবিষ্কার করেন হাতুড়ির আঘাতে দ্রব্যটি বিস্ফোরিত হয় সেই থেকে দ্রব্যের নামকরণ হয় ফালমিনেট।
অস্থায়ি,দাহ্য এবং বিস্ফোরক এই উপাদান মূলত বিভিন্ন বিস্ফোরণের কাজে ব্লাস্টিং কাপে ট্রিগার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।তবে বিপজ্জনক বলে এখন লেড আজাইড,Pb(N₃)₂ ব্যবহৃত হয়। ১০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এর বিয়োজন শুরু হয় তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে বিয়োজন হার বাড়তে থাকে । কোন শক বা দ্রুত বেগে আঘাত থেকেও এই বিক্রিয়ার সূত্রপাত হতে পারে। মার্কারি ফালমিনেট বিয়োজিত হয়ে উৎপন্ন হয় নাইট্রোজেন(N₂), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂ ) সাথে বিষাক্ত মেটালিক মার্কারি বাষ্প (Hg)।
4Hg(CNO)₂ = 2CO₂ + N₂ + HgO + 3Hg(OCN)CN
Hg(CNO)₂ = 2CO₂ +N₂ +Hg
Hg(CNO)₂ = Hg(OCN)₂
2Hg(CNO)₂ = 2CO₂ + Hg + N₂
সিরিজে যেমনটি দেখানো হয়েছে একদানা ক্রিস্টাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওয়াল্টার একেবারে সুস্থ অবস্থায় মাদক সম্রাটের ডেরা থেকে প্রস্থান করে তেমন টা কি সম্ভব? এক দানা ক্রিস্টাল বিস্ফোরণ ঘটাতে হলে তা স্বাভাবিক ভাবেই অপরাপর ক্রিস্টালগুলোতে বিস্ফোরণ সৃষ্টি করবে এতে করে ওই রুমে একটি প্রানীরও বেঁচে থাকার কথা না। আবার এই বিক্রিয়ায় যে বিষাক্ত মার্কারি বাষ্পের নির্গমন হয় এতে করেও কারো বেঁচে থাকার কথা না।
তার থেকেও বড় কথা ওত বড় ক্রিস্টাল দানা অনেক বেশি অস্থায়ী ফলে প্রস্তুত করাও সম্ভব না।
রাইসিন
রাইসিন খুব সম্ভবত এই সিরিজের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর রাসায়নিক দ্রব্য । বেশ কয়েক ক্ষেত্রে আমাদের সিরিজের খলনায়ক তার ক্রূর রসায়নের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে এই বিষের মাধ্যমে শ্ত্রুপক্ষের অনেককে কাবু করতে সক্ষম হন । ব্রকের অসুস্থতা থেকে লিডিয়ার মৃত্যু সবক্ষেত্রেই রয়েছে এই বিষের প্রয়োগ।
কতটা ভয়ানক এই রাইসিন নাকি আদতে কিছুই না?
Ricin, কাস্টর জাতীয় উদ্ভিদ Ricinus Communis থেকে আহরিত একটি খুবই মারাত্মক বিষাক্ত প্রোটিন। এটি মূলত কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কাস্টর বীজ সেবনে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে ২০ গ্রামের মতো খেলেই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে পাউডার ফর্মে রাইসিন খুবি বিষাক্ত।
রাইসিন দেহের ডিএনএ এর ঘাটনিক উপাদান আডেনিনের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয় অ্যাডেনিন দেহের প্রোটিন সংশ্লেষণে ভুমিকা রাখে এর অনুপস্থিতিতে প্রোটিন সংশ্লেষণ বাধাগ্রস্থ হয় ফলে তান্ত্রিক গোলযোগ দেখা যায়।
বাস্তবেও রাইসিন প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার নজির কিন্তু কম নেই । মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সহ তার প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হত্যা চেষ্টায় রাইসিন ব্যবহৃত হয় তবে সেটি ব্যর্থ করে দেয় মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী। Georgi Markov নামের একজন বুলগেরীয় হত্যার পেছনে এই বিষের ব্যবহার হয়েছিল বলে প্রমাণ রয়েছে।
ঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে রাইসিনের বিষক্রিয়া থেকে বেচে থাকা সম্ভব।
থারমাইট
এবার আসি থারমাইটের গল্পে। ক্রিস্টাল মেথের অন্যতম কাচামাল মিথাইল এমিন,CH₃NH । আর এই কাঁচামাল সংরক্ষিত ছিল একটি গুদামে যা কিনা লোহার লকের দরজা দ্বারা সুরক্ষিত আর এই তালা ভাঙতে আমাদের রসায়নের শিক্ষক ব্যবহার করলেন থারমাইট।
থারমাইট ,Thermite ধাতব চূর্ণ এবং ধাতব অক্সাইডের এর একটি মিশ্রণ যা কিনা উত্তপ্ত অবস্থায় বেশ তাপশক্তি উৎপাদনে সক্ষম।থারমাইটের ব্যবহার রয়েছে ধাতুর ওয়েল্ডিঙে।
সিরিজে থারমাইট প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়েছিল আইরন অক্সাইড,Fe O এবং অ্যালুমিনিয়াম,Al এই বিক্রিয়ায় উপজাত হিসাবে তৈরি হয় গলিত লোহা সেই সাথে প্রচুর তাপশক্তি প্রায় ২৫০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা যা লোহার লক কেন পুরা দরজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ।
Fe O₃ + 2Al = Al O₃ + 2Fe
এই বিক্রিয়ায় যে আলো ও তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাতে জেসি এবং ওয়াল্টার দুইজনেরই স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হবার কথা কিন্তু তেমন টা ঘটতে দেখা যায় না।
ফসফিন গ্যাস
সিরিজের এক পর্যায়ে দেখা যায় ওয়াল্টার তার আরভি ভ্যানে ফসফিন গ্যাসের,PH বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুই জন হন্তারক থেকে নিজেকে রক্ষা করে।
ফসফিন কি পারে বিস্ফোরণ ঘটাতে?
সিরিজে দেখানো রেড ফসফরাস,P গরম পানিতে ডুবিয়ে আর্দ্র বিশ্লেষণ করে ফসফিন গ্যাস,PH প্রস্তুত করা হয় রেড ফসফরাস গরম পানিতে যথেষ্ট আর্দ্র বিশ্লেষিত হয় না ফলে এই উপায়ে ফসফিন গ্যাস প্রস্তুত সম্ভব হবে না অন্তত বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব না।
ধাতব ফসফাইড যেমন ক্যালসিয়াম ফসফাইডের আর্দ্র বিশেষণে বিস্ফোরণ সহ ফসফিন গ্যাস প্রস্তুত সম্ভব।
Ca₃P + 6H O = 3Ca(OH) + 2PH₃
ফসফিন গ্যাসের উদগিরনের ফলে এমিলিও এবং ক্রেজি-৮ কে অবচেতণ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ফসফিন বিষাক্ত গ্যাস। শ্বাস প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায়।
ব্লু ক্রিস্টাল মেথ
ওয়াল্টারের সিগনেচার ডিশ ব্লু ক্রিস্টাল মেথ। রসায়ন কি বলে, মেথ কি নীল হতে পারে?
উত্তর হল না। সিরিজে দুই উপায়ে ক্রিস্টাল মেথের সংশ্লেষণ দেখানো হয় ।একটি হল সিউডো এফিড্রিন,pseudoephidrin থেকে – এটি সুডাফেদ নামক ঠান্ডা কাশির জন্য একটি ঔষধ এর উপর নির্ভর করে ওয়াল্টার শুরুর দিকে তার মেথ সাম্রাজ্য গড়ে তুললেও বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন আরও ভালো এবং সাশ্রয়ী কাচামাল-মিথাইল এমিন ,CH₃NH ওয়াল্টারের কথিত ৯৯.১% বিশুদ্ধ ক্রিস্টাল মেথের বর্ণ নীল হওয়া সম্ভব না । এই সিরিজের সাফল্যের পর মেক্সিকোর ড্রাগ কারটেলগুলো অবশ্য নীল রঞ্জক দিয়ে ব্লু ক্রিস্টাল মেথের বিক্রি শুরু করেছিল!!
টিভি সিরিজের মুখ্য উদ্দেশ্য দর্শককে আমোদিত করা এবং কৌতূহল উদ্রেক করা। পাঠ্যপুস্তকের রসায়নের জ্ঞানকে টিভিতে তুলে আনা নয়। এই জন্য এটি ফিকশন বা কল্পনা- বাস্তব নয়। তবে হ্যাঁ,রসায়নের অনেক দিক চটকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এখানে। যার জন্য এই সিরিজের ডিরেক্টর বিশেষ ধন্যবাদের দাবি রাখেন।
রসায়ন কাঠখোট্টা,বেজায় নিরস ।এই মরুময়তার মধ্যেও প্রানের সঞ্চার করেছে এই টিভি সিরিজ ।
সিরিজটি দেখে না থাকলে এবং রসায়নের ছাত্র হয়ে থাকলে লেখাটি পড়ে শুরু করে দিন না !!
image source: google