জার্নি টু ইন্টেল : ড. আনোয়ার হোসেইন খান

Posted on

Written by

ক্যারিয়ার এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট টিম

জার্নি টু ইন্টেল : ড. আনোয়ার হোসেইন খান

প্রতিবছর ইন্টেলে অনেক বাংলাদেশী যোগদান করেন যাদের বড় একটি অংশ কেবল কম্পিউটার সায়েন্স কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের।তবে অন্য একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের থেকে যোগদানের ঘটনাও নেহায়েত কম নয়।কেমফিউশনের ক্যারিয়ার আড্ডায় –ক্যারিয়ার এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট টিম হেড তাসনিম মেহজাবিন এর সাথে কথা হয় ড. আনোয়ার হোসেইন খানের। যিনি বর্তমানে ইন্টেলে কর্মরত আছেন । ড. আনোয়ার স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে। এরপর লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি অর্জন করেন।

চলুন জেনে আসি ড. আনোয়ার হোসেইন খানের রসায়ন থেকে ইন্টেল পর্যন্ত বিচিত্র এই পথচলার আদ্যোপান্ত ।

তাসনিম মেহজাবিন: ড. আনোয়ার, পাঠকদের কাছে আপনার জার্নিটা যদি সংক্ষেপে তুলে ধরতেন।

ড. আনোয়ার হোসেইন: আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে স্নাতক সম্পন্ন করি। বরাবরই আমার পছন্দের বিষয় ছিল অর্গানিক কেমিস্ট্রি অর্থাৎ জৈব রসায়ন। দ্বিতীয় বর্ষের শেষ থেকেই GRE, TOEFL এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম এবং চতুর্থ বর্ষ সমাপ্ত করেই পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিই। যেহেতু জৈব রসায়ন ছিল পছন্দের তালিকায় প্রথম, তাই জৈব রসায়ন শাখায়ই প্রজেক্ট করবো বলে মনস্থির করেছিলাম। আমার আগ্রহের জায়গা ছিল এমন কোনো মলিকুলার প্রোব তৈরি করা, যেটাকে ক্যান্সার শনাক্তকরণে ব্যবহার করা যাবে। আমি আমার SOP তেও এটি উল্লেখ করি বিভিন্ন প্রোগ্রামে আবেদন করার সময়। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেয়ার পর সুপারভাইজার সিলেকশনের সময় এলো,একজন প্রফেসরের সাথে আমার আগ্রহের দিক নিয়ে কথা বলি কিন্তু একই ধরনের গবেষণা অভিজ্ঞতার অভাবে তার সাথে কাজ করার সুযোগ হাতছাড়া হয়।

আমরা যারা দেশের বাইরে আসি, এখানে সুপারভাইজার সিলেক্ট করার সময়ও অনেক সময় অনেক প্রতিযোগিতা হয়। দুই একজন ভালো সুপারভাইজার সবারই প্রথম পছন্দ।স্নাতক এর শেষ দিকেও ডিপার্টমেন্টে অনেক প্রফেসরের কাজ সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারি নি ওভাবে। যে কারণে আমি মনে করি নিজের আগ্রহের সাথে মিল রেখে প্রজেক্ট সিলেকশনে আমার কিছুটা অসংগতি ছিল। আমি যে সুপারভাইজারের সাথে পিএইচডি করেছিলাম, উনি ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রি নিয়ে কাজ করতেন। যেহেতু আমার ইচ্ছা ছিল অর্গানিক বা অ্যানালাইটিক্যাল কেমিস্ট্রিতে যাওয়া, তাই ম্যাটেরিয়াল কেমিস্ট্রি নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান খুব বেশি ছিল না, এরপরও শেষমেষ আমি গেলাম ম্যাটেরিয়াল বা পলিমার কেমিস্ট্রিতে।

আমি যখন আমার সুপারভাইজারকে বললাম যে আমি এই ধরনের কাজ করতে চাই, উনি বললেন “আমি তো এ ধরনের কাজ করি না, আমার একজন কোলাবোরেটর আছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ, যিনি এই ধরনের কাজ করেন। তুমি কি এই ধরনের কাজ করতে চাও?” আমি বললাম, “কেন নয়?” এরপর আমি দুজনের সাথে কোলাবোরেট করা শুরু করি।লুইসিয়ানা তে আমার গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিলো থিওলিন বেজড সফট বায়ো ম্যাটেরিয়াল ও মাইক্রো ফ্লুয়িডিক সিস্টেম ডেভেলপ করা বায়োমেডিকেল সেক্টরে প্রয়োগের জন্য।এজন্য আমাকে একইসাথে কেমিস্ট্রি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এই ইন্টার ডিসিপ্লিনারি কাজগুলো পরবর্তীতে আমার ক্যারিয়ার এবং গবেষণায় অনেক সহায়তা করেছে বলে আমার মনে হয়।

তাসনিম মেহজাবিন: আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়েছেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে রকম সুযোগ রয়েছে সেখানে আমরা আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে আমাদের প্রোফাইলকে কিভাবে ডাইভার্স করতে পারি?

ড. আনোয়ার হোসেইন: আমার কাছে মনে হয়, এ মুহুর্তে বাংলাদেশে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থাকা অবস্থায় যুগান্তকারী কোন গবেষণায় যুক্ত হবার সুযোগ খুবই সীমিত ।

তবে আন্ডারগ্রাজুয়েটে যেকোনো একটা গবেষণায় যুক্ত হওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে কোন বিষয়ে গবেষণায় যুক্ত হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে স্টুডেন্ট এর নিজের উপর। এখন বলতে পারো, আমি এনভায়রনমেন্টালে কাজ করি, ভবিষ্যতে কি অন্য কোনো ফিল্ডে কাজ করতে পারি কি? হ্যাঁ, এটা সম্ভব। আসলে ব্যচেলর লেভেলে কিছু রিসার্চ অ্যাক্টিভিটি থাকলে ভালো।এটা গবেষণা সম্পর্কে প্রাথমিক মৌলিক ধারণা অর্জন এবং এতে আগ্রহ জন্মানোর একটা বড় সুযোগ।

আর আমাকে যদি সিজিপিএর কথা জিজ্ঞেস করো আমি বলব নূন্যতম একটা জিপিএ সবারই মেইনটেইন করা উচিত, কারণ এটা কিছু জায়গায় অনেক গুরুতর ইম্প্যাক্ট রাখে।

সুতরাং, এক কথায় বলতে গেলে,

১। সিজিপিএ ঠিক রাখার চেষ্টা (৩.২৫ কমপক্ষে রাখার চেষ্টা করা,এর চেয়ে যত বেশি সম্ভব,তত ভালো)

২। যেকোনো ধরণের গবেষণায় যুক্ত হওয়া, যতটা করা যায় বাংলাদেশে বসে

৩। GRE, TOEFL এর জন্য কিছুটা আগে থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া।

তাসনিম মেহজাবিন: একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের আরও কী কী স্কিল শেখা উচিৎ?

ড. আনোয়ার হোসেইন: আমার কাছে মনে হয় ছোট বড় যে কোনো স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর প্রতি মনোযোগী হওয়া। ধরো,তোমাকে একটা রিসার্চ আর্টিকেল দেয়া হলো, তোমার এখন ঠিক কোন অংশটা দেখতে হবে? এটা বুঝতে পারাটাও একটা স্কিল যেটা রপ্ত করতে হবে।তুমি যে ধরনের গবেষণাই করো না কেন, কোনো একটা টপিকে আটকে গেলে সেই সম্পর্কিত একটা ভালো রিসার্চ পেপার খুঁজে সেখান থেকে স্টাডি করতে হবে। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় পেপার পড়ার অ্যাবিলিটি ডেভেলপ করতে পারলে পিএইচডি করতে আসলে তোমাকে সেটা সাহায্য করবে।

এছাড়াও, প্রেজেন্টেশন। এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরো, তোমাকে একটা পেপার দেয়া হলো, আর বলা হলো একটা স্লাইডে সেটা উপস্থাপন করতে। এই আইডিয়াটা ডেভেলপ করাটাও কিন্তু পিএইচডির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এরপর পিএইচডিতে এসে তুমি আরও অনেক কিছু ডেভেলপ করতে পারবে, তবে পেপার পড়ো, আর প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপ করো।_যারা এখন এই লিখাটি পড়ছো, তাদের বলবো আজকেই শুরু করতে । প্রথম স্টেপই সবচেয়ে কঠিন।শুরু করাটাই মুখ্য।

তাসনিম মেহজাবিন: এক্ষেত্রে আমাদের ৪র্থ বর্ষে যে ২ ক্রেডিটের প্রজেক্ট দেওয়া হয় সেটা করা তাহলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ড. আনোয়ার হোসেইন: হ্যাঁ অবশ্যই এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে একটু বলি। প্রজেক্ট করতে গিয়ে আমরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ি যে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। আসলে,মনে রাখতে হবে এটা কেবল শুরু।এটা একটা লেসন ভিন্ন আর কিছুই না। তুমি যে এই প্রজেক্ট করে রাতারাতি বড় কোনো বিজ্ঞানী হয়ে যাবে এমনটা না, কেউ যদি পারে তাহলে ভালো, তবে তুমি যদি এখান থেকে কিছু শিখতে পারো, যেমন পেপার সার্চ করা, কোন অংশে ঠিক কি আছে সেটা পড়তে শেখা তবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ।একটু লেসন এবং ধীরে ধীরে চেষ্টা করলে তুমি অনেক ভালো করবে নিশ্চয়ই।

তাসনিম মেহজাবিন: একটা বিষয় আমার জানার ছিলো, আপনি এখানে কেমিস্ট্রি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে গিয়েছেন, ওখানে গিয়ে ইন্টারডিসিপ্লিনারি ফিল্ডে শিফট করেছেন। ওখানে গিয়ে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন?

ড. আনোয়ার হোসেইন: এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমি যে প্রবলেম ফেস করছি, সেটা মূলতঃ ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কিত কাজ। আমি এর আগে এই রিলেটেড কোনো কাজ করিনি, যে কারণে আমাকে আমার ফিল্ড সম্পর্কে অনেক আইডিয়া জোগাড় করতে হয়েছে শুরুতে। প্রথম প্রবলেম ছিল পেপার পড়ার ব্যাপারটা, আমার ফিল্ডে কী আছে কী নেই, আমাকে কী করতে হবে এটা খুঁজে বের করা। প্রথম ৮-৯ মাস আমার জন্য বেশ কঠিন সময় ছিল। আমি বায়োমেডিকেল ল্যাবে গিয়ে মাইক্রোফ্লুইড আর সেল কালচার সম্পর্কে জেনেছি যা সম্পর্কে আমার কোনো পূর্ব ধারণাই ছিলো না।আমার ল্যাবের সহকর্মীগণ আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এবং আমিও নিজে থেকে শেখার চেষ্টা করেছি। তবে যখন আমি একেবারে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি তখন এটা আমার কাছে সহজ হয়ে গিয়েছিলো।আরেকটা কথা বলতে চাই যে, তোমার কোনো একটা ফিল্ডে অনেক আগ্রহ আছে,কিন্তু কোনো অভিজ্ঞতা নেই,এরকম ক্ষেত্রে সাহস করেই এগিয়ে আসাটা উচিত হবে।মাস্টার্স বা পিএইচডি শিক্ষারই একটা ধাপ, যতক্ষণ তোমার শেখার আগ্রহ আছে,পরিশ্রমী মানসিকতা আছে,তুমি অবশ্যই শিখবে এবং একদিন না একদিন সাফল্য আসবেই।

তাসনিম মেহজাবিন: আমরা যদি আপনার বর্তমান কর্মক্ষেত্র নিয়ে কথা বলি, ইন্টেলে আপনাকে কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়? আসলে ইন্টেলের মতো টেক কোম্পানিতে কেমিস্ট্রির অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

ড. আনোয়ার হোসেইন: মূলতঃ সেমিকন্ডাক্টর চিপ ডেভেলপমেন্টের কাজটি আমি করছি। এই ধরনের চিপ ডেভেলপমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ হচ্ছে লিথোগ্রাফি। সহজে বলতে গেলে কম্পিউটারে অডিও বা ভিডিও প্লে করার জন্য ডিস্ক শেইপের সিডিগুলো তো কম বেশি আমাদের সবারই দেখা?! এই সিডির মতোই দেখতে সিলিকন এর তৈরি এক ধরনের সূক্ষ্ম কাচ আছে যা আমরা ব্যবহার করি লিথোগ্রাফিতে। লিথোগ্রাফির জন্য এই গ্লাসের উপরে ১-২ মিলি মনোমার সল্যুশন দেয়া হয়। পুরো সল্যুশন যাতে গ্লাস সারফেসে ছড়িয়ে যেতে পারে এর জন্য ডিস্কগুলিকে নির্দিষ্ট ঘূর্ণন বেগে ঘুরানো হয় যা শেষমেশ গ্লাস সারফেসের উপর মনোমারের সূক্ষ্ম একটা প্রলেপ তৈরিতে সহায়তা করে। এখন এই প্রতিটা মনোমার অণুকে পরস্পরের সাথে লিংক করবার জন্য আছে ক্রসলিংকারস এবং এই ক্রসলিংকিং হয়ে থাকে অতিবেগুনী রশ্মির উপস্থিতিতে। এই সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি তৈরির সময় আমরা পুরো ডিস্কের পরিবর্তে কেবল নির্দিষ্ট একটি জায়গা অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে আলোড়িত (irradiate) করি। এরপর ডিস্কগুলিকে এক ধরনের রাসায়নিকে ডুবানো হয় যা ঐ নির্দিষ্ট অংশ ব্যতীত বাকি গ্লাস সারফেসের মনোমার কোটিং কে উঠাতে সাহায্য করে। এভাবেই ডিস্কের শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটা অংশে মনোমারের মধ্যে ক্রসলিংকিং করা হয়। বর্তমানে আমাদের প্রচেষ্টা মূলত কীভাবে এই মনোমারের প্রলেপ কে আরও সূক্ষ্ম করা যায় এই লক্ষ্যে। কেননা এই মনোমার এর প্রলেপ যত সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর হবে ততো বেশি কর্মদক্ষতাসম্পন্ন হবে এই চিপগুলি। এছাড়াও বাইরের অনেক দেশেই রসায়নবিদরা এখন এচ (Etch) (যা বলতে বুঝানো হয় ধাতব সারফেসের উপর কোনো এসিড বা গ্যাস দিয়ে নির্দিষ্ট প্যাটার্ন তৈরি) এবং Matereology র মতো সেক্টরগুলিতে প্রবেশ করছে।

এরপর সেখানে বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম লাইন তৈরি করবো, যাতে তড়িৎ প্রবাহ দ্রুত হয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই ধরনের লাইনগুলো কিভাবে সরু করা হয়। এটা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে, যেমন নতুন মনোমার সিলেকশন বা মনোমার মডিফিকেশন, অথবা অতিবেগুনি রশ্মির সাহায্যে একটা মনোমারের সাথে অন্য একটা মনোমারের ক্রসলিংক করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা চেষ্টা করছি এক্সট্রিম

আলট্রাভায়োলেট লিথোগ্রাফি ব্যবহারের।

তাসনিম মেহজাবিন: আমাদের আসলে কোনো ধারণাই ছিলো না হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্টে রসায়নবিদরা কাজ করতে পারে, আমি ভেবেছিলাম এটা তড়িৎ প্রকৌশলী বা যন্ত্রপ্রকৌশলীদের কাজ।

শেষ প্রশ্ন হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিতে জয়েন করার ক্ষেত্রে পিএইচডি করাটাই কি বেশি জরুরি? নাকি মাস্টার্স করাটাই যথেষ্ট? আবার যদি দুটো মাস্টার্স ডিগ্রি থাকে তাহলে কেমন হেল্প করবে?

ড. আনোয়ার হোসেইন: আমি এক্ষেত্রে যেটা বলবো সেটা হচ্ছে যে একটি ইউএস ডিগ্রি ইন্ড্রাস্ট্রি জয়েনের জন্য যথেষ্ট। তবে এক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয় ভাবার প্রয়োজন আছে। যেমন যদি দীর্ঘদিন কেউ ইউএসএ তে থাকতে চায় তবে তার গ্রিন কার্ড প্রয়োজন হবে।সেক্ষেত্রে পিএইচডি চলাকালীন বেশি সময় পাওয়া যায় চিন্তাভাবনার জন্য,একইসাথে প্রোফাইল ভারী করার জন্য।তাই যদি তুমি ইউএসএ আসতে চাও কিন্তু তোমার গ্রিন কার্ড না থাকে,আমার মতে পিএইচডি ভালো অপশন।তবে গ্রিন কার্ড যদি আগে থেকেই থাকে,সেক্ষেত্রে মাস্টার্স ও করা যেতে পারে। তবে আমি দুটো মাস্টার্স এর পক্ষপাতী নই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

তোমাকেও ধন্যবাদ।

Share:

You might also like